আমি আলমগীর হোসেন।
গ্রামঃ পরে বলবো
পোস্ট, মোকরা সিনিয়র মাদ্রাসা (৩৫৮০)
থানা, নাঙ্গঁলকোট।
জেলা, কুমিল্লা, বাংলাদেশ,
আজ আপনাদের সাথে প্রেম ভালবাসা করে বিয়ে করার পর
আমাদের সমাজে বেশিরভাগ কি ঘটে থাকে তাদের পরিবারে।
তা নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরলাম।
ভুল মানুষ করে থাকে কিন্তু কেউ না জেনে না বুঝে
যদি সেটা হয় জেনে শুনে সেটা কখনোই মেনে নেওয়ার মত না।
প্রেম ভালবাসা কে নিয়ে কিছু কথা তুলে দরলাম
ভুল হলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,
আশা করে সবাই পুরো লেখা টুকু মন দিয়ে পড়বেন
ও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন ধন্যবাদ।
কথা না বারিয়ে মূল কথায় আসি।
একটা ছেলে ২ বছর প্রেম করে
একটা মেয়ে কে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে পেলছে
দুই দুইটা পরিবারের অজান্তে।
ঐ দিন রাতে হোটেলে থেকে তাদের ভাসর হয়
পরের দিন তার ফেসবুক টাইম লাইনে পোস্ট দেয়
ভালবেসে পালিয়ে বিয়ে করার মজা টাই আলাদা
যা অন্যরা বুঝবে না।
এটা সবাই করতে পারে না
বুকে সাহস থাকা লাগে
বুকে দম থাকতে হয় পালিয়ে বিয়ে করতে
এটা একটা আর্ট যা সবাই করতে পারে না
এই বলে পোস্টে সবার কাছে দোয়া চায় তাদের দাম্পত্য জীবনে যেন সুখে ভরে যায়।
আরে ভাই হ্যাঁ আমি তাদের কে বলছি
যারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করছেন
এবং করবেন
যারা পালিয়ে বিয়ে করেছেন তারা কি আধ্যো সুখি হয়েছেন কি
প্রশ্ন টা তাদের জন্যই?
আর হ্যাঁ যারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার কথা ভাবছেন
যারা এই কাজ গুলা করে থাকে
তাদের কে আমি মানুষিক অসুস্থত বলবো,
কেন না জানেন
জানতে চান মন দিয়ে শুনুন।
একটা ছেলের বাবা মায়ের
আর
একটা মেয়ের বাবা মায়ের কত স্বপ্ন আছে তাদের কে নিয়ে।
সব চাইতে বড় স্বপ্ন তো সেটাই
যেটা আপনি নিজেই ভুল করতেছেন
আমাদের মা বাবা আমাদের কে তাদের স্বাদ্ধ অনুযায়ী
আমাদের কে ভাল খাওয়ার
ভাল রাখে
ভাল পোষাক দেয়
ভাল কিছু করার উৎসাহ দেয়
ভাল চলতে শিখায়
ভাল স্কুলে দেয়।
ভাল কোচিং সেন্টার এ দেয়
ভাল মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়
ভাল ভাবে চলার সঙ্গী হয়ে থাকে আর হাজার কথা আছে
সব টুকু বলা সম্ভব নয়
তাই অল্পতেই তুলে দরলাম কথা গুলা।
কখনো মা বাবারা খারাফ ছেলের হাতে তাদের মেয়ে কে তুলে দেয় না
আর
কোন মা বাবা তাদের ছেলের সাথে কোন খারাফ মেয়ে কে বিয়ে করিয়ে নিয়ে আসে না বাসায়।
প্রত্যেক মা বাবা-ই চায়
ছেলে মেয়ে কে বেস্ট উপহার দেওয়ার জন্যই
তারা দিন রাত চিন্তা করতে থাকে সারাক্ষণ
কারণ তারা মা বাবা তাদের কোন তুলনা হয় না
অন্য কোন কিছুর সাথে।
আপনি ভাবছেন ৪ বা ৫ বছর প্রেম করে
তাকে পাবেন না এটা কি করে হয়
হয়ত আবেগের ঠেলায়
একজন অন্য জন কে বলে থাকেন
তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।
তা হলে আপনার জন্য একটা প্রশ্ন করতে চাই
আপনাকে আপনার মা বাবা ছোট থেকে আজ পর্যন্ত যে পরিমাণ ভালবেসেছে
আজোও অন্য কেউ এমন টা করতে পেরেছে কি?
আর
আপনার সাথে আপনার রক্তের সম্পর্ক গুলার চাইতে ও কি ৪/৫ বছরের সম্পর্ক টাই বেশী নাকি?
মা বাবার ভালবাসা বেশি কোন টা
যারা আপনাকে ছোট থেকেই ভালবেসে এসেছেন
তাদের কে
না জানিয়ে
না বলে
সবার অজান্তে পালিয়ে বিয়ে করেন
এটা কি ভাবে সম্ভব।
প্রেম করে বিয়ে করবেন ঠিক আছে কিন্তু
ভালবাসার মানুষ কে পেতে
অল্প কিছু ট্রিক্স আপনাকে ব্যাবহার করতে পারলেই
আপনিই লাকী।
দুই দুইটা পরিবার কে মানিয়ে সামাজিক ভাবে বিয়ে টা করেন দেখবেন জীবনে ঠকবেন না
বং পালিয়ে বিয়ে করার ছেয়েও বেশি সুখি হবেন এটা আমি কথা দিলাম।।
একবার ভাবুন তো
একটা মেয়ে কে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর তার পরিবারের কথা একটা বার ভাবুন।
মেয়েটা যখন বাসা থেকে আপনার সাথে পালিয়ে গেল বিয়ে করার উদেশ্য নিয়ে।।
তখন থেকেই
শুরু হবে
মেয়ের মা বাবা আত্মীয়দের খুঁজাখুজি
কান্নাকাটি।
যখন শুনবে
মেয়েটা কার সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নিল।
পরিবারের অচেনা একটা ছেলের সাথে অথবা
পরিচিত কোন ছেলের সাথে।
তখন মা বাবার মাথায় যেন আকাঁশ ভেঙ্গে পড়লো।
তখন একজন মা ই বলতে পারে
কত হাজার মানুষের কুতচিত আচরণ শুনতে হয়
তাদের দুই দুইটা পরিবার কে শুনতে হয়
সমাজের কিছু মানুষের অশ্লীল শব্দ।
বাবা থেকে শুরু করে সকল আত্মীয়রাও
বলে দোষ দিতে থাকে একজন মা কে।
আর বাবা রা মায়ে রা কত কষ্ট হয় তাদের জানেন
শুনবেন
তাদের আর্তনাদ কি বলে।।।
মেয়ের উদেশ্য করে কিছু কথা।
মা মা গো আমরা কি দোষ করলাম তোমার সাথে
আমাদের কি অপরাধ ছিল তুমি বলে গেলে না কেন।
আমরা কি তোমাকে ভালবাসি নাই
আমরা কি তোমাকে অযত্ন করেছি
আমরা কি তোমার জন্ম দেওয়া মা বাবা নই
আজ তুমি অল্প সময়ের পরিচিত একটা ছেলের প্রেমে পরে আমাদের কে ছেড়ে চলে গেছো
কোথাই আছো কেমন আছো কিছুই জানি না।
আমরা কি পারতাম না
তোমাকে এর ছেয়ে ভাল একটা ছেলের হাতে তুলে দিতে
যে কি না তোমার জীবন সঙ্গী হবে
প্রতিটা মুহূর্তে তোমাকে নজরে নজরে রাখবে
প্রতিনিয়ত
আমরা কি পারতাম না
এই ছেলের সাথেই সামাজিক ভাবে অনুষ্টান করে
তোমাকে বিয়ে দিতে
আমাদের কে একবার ও কি জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন ছিল না
তোমার এমন একটা ভুল সিন্ধান্ত নেওয়ার আগে।
আমাদের কে বলতে পারতা তোমার আত ছেলেটার সম্পর্কের আছে।
আমরা কি ভাল একটা সিদান্তে দিতে পারতাম না।।।
তোমাকে আমরা ২০/২১ বছর লালন করে কত যতন করে ভালবেসে আদর করে তোমাকে বড় করেছি
আজ একটা ছেলের প্রেমের কাছে আমরা কিছুই না তাই না মা মা গো জান
আজ বুঝতে পারছি
আমরা তোমার অযোগ্য মাতা পিতা
শুধু একটা কথা মনে রেখো
দুনিয়ার কোন মা বাবাই তাদের ছেলে মেয়েদের অমঙ্গল কিছু চায় না,
প্রতিটা বাবা মা চায় তাদের সন্তান যেন
তাদের সকল স্বপ্ন পূরণের লখ্যে ছুটে যায়
বালার আগে।
প্রতিটা মা বাবা'ই চায় তাদের সন্তানের সুখ ও মঙ্গল।
আমাদের চেয়েও কি তোমাকে এই ছেলে বেশি ভালবাসে
নাকি এটা অল্প সময়ের জন্য।
তোমার বয়স কম তাই যা বুঝেছো তাই ভাল মনে করে করেছো দোয়া করি
সুখিও হও জীবনে তোমার জীবন সঙী নিয়ে।।
আমরা এক সময় তোমার মত বয়সের পরিস্থিতি টা পার করে এসেছি তবেই আজকে আমরা
তোমার বাবা মা।
তুমি আমাদের আগে ভাল মন্ধ শিখতে পার নাই
আগে আমরা শিখেছি
দেখেছি ও বুঝেছি
তাই আমাদের ছেয়েও তোমার এখন অনেক বেশি জ্ঞান ভাল মন্ধ বুঝায় জ্ঞান হয়ে গেছে।।।
শুধু একটা প্রশ্ন করতে চাই
তুমি যাকে পছন্দ কর তাকে ছাড়া তুমি বাচঁবা না
একটা আবেগের কথা
বাস্তবতা এটার কোন অস্তিত্ব নেই।
আর কেউ কাউকে ছেড়া বাঁচতে পারবে না
এটা অসুস্থ মনের আবেগের কথা।
প্রশ্ন টা হচ্ছে
৪/৫ বছরের সম্পক করা মানুষ টা কে ছাড়া বাঁচতে পারবা না
আর আমাদের সাথে তো তোমার নারীর রক্তের ২০ বছরের সম্পক
আমরা কি ভাবে থাকবো
তোমাকে ছাড়া।।।
মা মণি
তোমার জন্য এই ঠিটি টুকু রেখে গেলাম।
যখনি চিঠিটা পড়া শেষ হবে
তখন পারলে একটু কষ্ট করে
সিন্ধুকের ভিতরে কাপড় মোড়ানো
কিছু মাটি আছে
আমাদের কবরের দিয়ে দিও।।।
আমাদের এই ভুল সিদান্ত নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই
কারণ
আমাদের সমাজের মানুষ আমাদের কে
এত খারাফ কথা বার্তা বলতেছে
যা আমরা কখনোই কার থেকে আশা করিনি।
তোমাকে এত কেয়ার করার পরেও যখন
তুমি আমাদের কে বুঝতে পারনি
আমরা তোমাকে ভাল কিছু দিতে পারিনি
তাই মানুষ তোমাকে নিয়ে
আমাদের কে অনেক বাঝে মন্তব্য করতেছে
বাসায় এসে এসে আমি আর তোমার আম্মু
এই পথ নেওয়া ছাড়া আমাদের অন্য কোন উপায় ছিল না।
দোয়া রইলো মা মনি ভাল থেকো সুখে থেকে
তোমাদের দাম্পত্য জীবনে সুখি হওয়
ইতি তোমার বাবা মা।।।
আমার লেখায় হয়ত কোথাই ভুল হতে পারে
দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
লেখা ও গল্প
কাহিনী রচনা
আলমগীর হোসেন
m.facebook.com/bossbgd
m.facebook.com/bossbgd3
No comments:
Post a Comment